Responsive Ads Here

Friday, May 25, 2018

যুক্তরাষ্ট্রকে টম অ্যান্ড জেরির বিড়াল বললেন খামেনি


আয়াতুল্লা আলী খামেনি। রয়টার্স ফাইল ছবিআয়াতুল্লা আলী খামেনি। রয়টার্স ফাইল ছবিইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি তাঁর দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে ‘টম অ্যান্ড জেরি’ কার্টুনের বিড়ালের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ইরানে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের চার দশক পূর্তিতে কর্মকর্তাদের এক সমাবেশে খামেনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে পর্যুদস্ত করার জন্য নানা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং অপপ্রচারের মতো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সব অস্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। ‘টম অ্যান্ড জেরি’-র বিখ্যাত সেই বিড়ালের মতো তারা হেরেই চলেছে।
৭৮ বছর আগে কার্টুন সিরিজটি তৈরি হয়। সেখানে সাহসী ইঁদুর জেরি ক্রমাগত বিড়াল টমকে বোকা বানায়। যদিও তারা একে অপরকে বিরক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর ইরানের প্রতি নানাবিধ দাবির প্রেক্ষাপটে খামেনি মন্তব্যটি তাঁর নিজস্ব ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেন। পম্পেও ইরানের প্রতি দাবির একটি তালিকা দেন, সেসবের মধ্যে ছিল পরমাণু কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ এবং হিজবুল্লাহর মতো সংগঠনগুলোর ওপর থেকে ইরানের সমর্থন প্রত্যাহার করা। হিজবুল্লাহসহ আরও কিছু সংগঠনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গি সংগঠন মনে করে।
পম্পেওর এ বক্তব্য ওয়াশিংটনের মনোভাব তুলে ধরেছে। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু সীমিতকরণ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ওই চুক্তির ফলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল ছিল ইরানে।
ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ অন্য রাষ্ট্রগুলো চাইছে চুক্তিটি বাঁচাতে। খামেনি বলেন, ইরানের ‘ইউরোপের সঙ্গে বিরোধ নেই’ কিন্তু ‘ইরান তাদের বিশ্বাস করে না’। ইউরোপের উচিত ইরানের প্রাপ্য ওই চুক্তির অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা।
খামনি বলেন, ‘ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে পারে না। কেননা, তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না।’ খামেনি তাঁর অনুসারীদের কাছে সাহিত্যের একজন অনুরক্ত হিসেবে পরিচিত। ভিক্টর হুগোর ‘লা মিজেরঁ’কে তিনি এ পর্যন্ত লেখা সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে মনে করেন।

সাকিবের ব্যাটিং নিয়ে একটু অতৃপ্তি


খারাপ ব্যাটিং অবশ্য করেননি, তবে ইনিংসগুলো আরও লম্বা হতে পারত সাকিবের। ফাইল ছবিখারাপ ব্যাটিং অবশ্য করেননি, তবে ইনিংসগুলো আরও লম্বা হতে পারত সাকিবের। ফাইল ছবিমাশরাফি বিন মুর্তজা সব সময়ই চান সাকিব আল হাসান যে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলুন অন্তত রান করুন। এবারের আইপিএলে বোলিংটা মোটামুটি ভালো হলেও সাকিবের ব্যাটিং নিয়ে তৃপ্ত হওয়ার কথা নয় মাশরাফির। মাশরাফি কেন, নিজের ব্যাটিং নিয়ে বাঁহাতি অলরাউন্ডারও কি পুরোপুরি তৃপ্ত?
এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচেও সাকিবকে সাইডবেঞ্চে বসে থাকতে হয়নি। ১৫ ম্যাচে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছেন ১১ ইনিংসে। ২০.৮৮ গড়ে করেছেন ১৮৮ রান। স্ট্রাইক রেট মোটামুটি, ১১৮.৯৮। এখনো ফিফটি করা হয়নি, সর্বোচ্চ করেছেন ৩৫। যেহেতু পাঁচ-ছয়ে নামতে হয় টপ অর্ডারের সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না। তবে হায়দরাবাদের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সাকিবের পরিসংখ্যানটা যে সবচেয়ে অনুজ্জ্বল, সেটি বললে ভুল হবে না। তাঁর পরে থাকবেন শুধু উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা, ১০ ম্যাচে যাঁর মোট রান তিন অঙ্কও ছোঁয়নি।
পরিসংখ্যান যদিও সব সময় প্রকৃত সত্যটা তুলে ধরে না। ৭ মে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তুলেছিল চতুর্থ উইকেটে সাকিব-উইলিয়ামসনের ৬৪ রানের জুটি। সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছিল ৩৫ রানের সময়োপযোগী এক ইনিংস। পরিস্থিতি বিবেচনায় যেটি অবশ্যই মূল্যবান। ১৪৬ করেও ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদ জিতে যায় ৫ রানে।
সাকিবের আরেকটি ভালো ইনিংস এসেছিল ১৪ এপ্রিল ইডেন গার্ডেনে, তাঁর আগের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। ১৩৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারানো হায়দরাবাদকে জয়ের প্রান্তে নিয়ে যায় সাকিব-উইলিয়ামসনের চতুর্থ উইকেটে ৫৯ রানের জুটি। সাকিব করেন মূল্যবান ২৭।
২৬ এপ্রিল রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে পাঞ্জাবের বিপক্ষে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে হায়দরাবাদ। এবারও চতুর্থ উইকেটে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত সাকিব। পার্থক্য বলতে অপর প্রান্তে ছিলেন মনীশ পান্ডে। সাকিব-মনীশের ওই ৫২ রানের জুটিটা না হলে হায়দরাবাদের ৬ উইকেটে ১৩২ রান করা কঠিনই ছিল। এই স্কোর শেষ পর্যন্ত ডিফেন্ড করে ফেলে হায়দরাবাদ। সাকিব করেন অতিগুরুত্বপূর্ণ ২৮ রান।
ভাবছেন কঠিন উইকেটে ম্যাচের রং বদলে দেওয়া ইনিংস দেখা গেছে যাঁর ব্যাটে, সাকিব খারাপটা করলেন কোথায়? পরিস্থিতি বিবেচনায় অবশ্যই ইনিংসগুলো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে বেশির ভাগ ম্যাচেই কিন্তু ইনিংস লম্বা করার সুযোগ তাঁর ছিল। টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ফিফটি পেয়েছেন কবে, মনে আছে সাকিবের? প্রায় দুই বছর আগে, সিপিএলে গায়ানার বিপক্ষে। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে প্রতিটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন, নামতে পেরেছেন পছন্দসই ব্যাটিং অর্ডারে। এমনও ম্যাচ গেছে সাকিব যখন নেমেছেন, তখন সেঞ্চুরিও করে ফেলা যায়! হাতে সময় নেই বা বল নষ্ট করা যাবে না—এমনটা ভেবে এলোমেলো চালানোর তাড়াও ছিল না অনেক ম্যাচে। ব্যাটিংয়ের এই অবারিত সুযোগটা তিনি নিজের দেশের বিপিএলেও অনেক সময় পান না। এবার যখন পেলেন, কতটা কাজে লাগাতে পেরেছেন, প্রশ্নটা সাকিবকে কিন্তু করাই যায়।
নিখাদ অলরাউন্ডার হিসেবে আইপিএলে যাঁরা খেলেছেন আন্দ্রে রাসেল, হার্দিক পান্ডিয়া, বেন স্টোকসদের সঙ্গে তুলনা করলে রান একটু কমই করতে পেরেছেন সাকিব। অবশ্য সাকিব প্রায় বলেন, ‘কত রান করলাম, কত উইকেট নিলাম, এটির চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ দলে কতটা অবদান রাখতে পারলাম।’ অবদানের বিচারে সাকিবকে অবশ্য পিছিয়ে রাখা যাবে না। কিন্তু লম্বা ইনিংসের অতৃপ্তি তো থেকে গেছে! এই অতৃপ্তি দূর করার সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
আজ ইডেনে কলকাতার বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার আছে। এই বাধা টপকে গেলে ফাইনালও থাকবে। আইপিএল থেকে ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই সাকিব নিশ্চয়ই তৃপ্তি নিয়ে ফিরতে চাইবেন।

Friday, May 18, 2018

রাজধানীতে অনেক এলাকায় জ্বলছে না চুলা!

শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এশার পর তারাবির নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পবিত্র এই মাসের আনুষ্ঠানিকতা। আর আজ শুক্রবার ভোরে সাহরি খেয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তাঁদের প্রথম রোজার রাখার নিয়ত করেছেন। রাজধানীজুড়ে সাধ্যমতো আয়োজনে সাহরি খাওয়ার আয়োজন করেছেন নগরবাসী। তবে মধ্যরাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকটে সাহরি তৈরিতে দুর্ভোগের কথা বলেছেন গৃহিণীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা জুড়ে গত দুই-তিনদিন যাবত গ্যাসের কিছুটা সঙ্কট থাকলেও বৃহস্পতিবার রাত থেকে তা চরম আকার ধারণ করেছে। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর উভয় সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে লালবাগ, আজিমপুর, সূত্রাপুর, খিঁলগাও, গেন্ডারিয়া, শান্তিনগর, মিরপুর ১-২-১০-১৩-১৪, আগারগাঁও, তালতলা, শেওড়াপাড়া, ফার্মগেইট, পান্থপথ, গ্রীনরোড, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের তীব্র সঙ্কট চলছে।
রাজধানীর আবাসিক এলাকা আজিমপুরে গ্যাসের তীব্র সঙ্কট। এই সমস্যা আগে ছিল দুপুরে। বর্তমানে সকাল, দুপুর ও রাতে সাংঘাতিক অবস্থা।’ আজিমপুরের বাসিন্দা সোহেল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দেন।
রাজধানীতে ভুক্তভোগী সোহেল একা নন, তার মতো হাজার হাজার মানুষ রমজানের প্রথম দিনে তীব্র গ্যাস সঙ্কটের কারণে রান্না করা নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন। গ্যাস সঙ্কটের কারণে রান্না করতে না পেরে কেউ কেউ বাইরের রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে খেতে বাধ্য হয়েছেন।
লালবাগ এলাকার বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই লাইনে গ্যাস নেই। সন্ধ্যা পর্য়ন্ত অপেক্ষা করেও যখন গ্যাস আসেনি তখন কেন্দ্রে অভিযোগ করেন। তারা আপাতত কোনো সমাধান নেই বলার পর নিরুপায় হয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা এক নিকটাত্মীয়ের বাসা থেকে খাবার রান্না করিয়ে এনেছেন বলে জানান।
প্রথম রোজায় রাজধানীজুড়ে কর্মজীবী মানুষও সাহরি খেয়েছেন হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ফুটপাতে। বরকত ও রহমতের এই মাসে অধিক নেকি হাসিলের সুযোগে কর্মজীবী মানুষরা ভুলেছেন পরিবার-পরিজন ছাড়া সাহরির খাওয়ার কষ্ট। কেউ কেউ রান্না করতে না পেরে হোটেল থেকে খাবার কিনে এনে খেয়েছেন বলেও ফেসবুকে লিখেছেন।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র- উত্তর ও জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র- দক্ষিণ এর দুই রেডিও অপারেটর মো. আলমগীর ও মোশাররফ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাস সঙ্কট সম্পর্কে শত শত অভিযোগ পেয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে তারা ধারনা করছেন, চাহিদার তুলনায় গ্যাসের চাহিদা বেশি হওয়ায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মেইন লাইনে প্রেসার কম থাকায় গ্যাসের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিগত বহু বছর যাবতই এ সঙ্কট চলছে। এছাড়া পুরোনো লাইন থাকার কারণে গ্যাস লিক হয়ে চাপ কমতে পারে বলে জানান তারা।
গ্রাহকদের এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী জানতে চাইলে- মেইন লাইনে প্রেসার কম থাকার তথ্যটি জানিয়ে এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করছেন বলে মন্তব্য করেন তিতাসের এই দুই অপারেটর।